জুনাঈদ আল হাবীব, নেত্রকোণা প্রতিনিধি: ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় সারা বাংলায় আজ দৃশ্যমান উন্নয়ন হলেও,, সেই উন্নয়ন হতে বঞ্চিত নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায় অর্ন্তগত বাউসী ইউনিয়নের দেওপুর,ধোবাহালা,ভেটুয়াকান্দা, নারাণখিলাসহ প্রায় ১০-১২টি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষ। এমন কি মানুষের মৌলিক চাহিদা হতেও তারা উপেক্ষিত।
মান্ধাতার আমলে যেভাবে দরজা বা তক্তা৷ দিয়ে পাঠাতন করে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হত হাঁসপাতালে,সেই আমল এখনও বিরাজমান এই অবহেলিত এলাকায়।
মুমূর্ষ রোগীকে ডাক্টারের নিকট নেওয়া অবস্থায় রাস্তায় মারা যাওয়ার ঘটনা এই এলাকার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
জননেত্রী শেখ হাসিনার একুশশতকের চ্যালেঞ্জ ও অঙ্গীকার ‘গ্রাম হবে শহর, শহর হবে নগর’ এর বাস্তবায়নের কানাকুড়িও পায়নি এই এলাকার সহজ, সরল ও অসহায় জনগোষ্টি। বিভিন্ন নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধি কতৃক কেবল আশ্বাস আর আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই জোটেনি এই অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কপালে।
এই এলাকার মানুষেরা দেওপুর হতে উপজেলা বা জেলার যোগাযোগের জন্য ৩/৪ কিলোমিটার ভাঙ্গা,গর্ত, খাল ও কাঁদাযুক্ত রাস্তা পায়ে হেঁটে অবহেলিত এলাকার মানুষজন ২/১ ঘণ্টায় শেখেরপাড়া বরইতলা বাজার বা হারুলীয়া বাজারে এসে অটো/রিক্সা যোগে যাতায়ত করতে হয়।
উল্লেখ্য যে এই এলাকায় তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,মহিলা মাদ্রাসা, হাফেজি মাদ্রাসা, বারহাট্টা উপজেলার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ,দুটি বাজার আছে, কিন্তু যাতায়ত বা যোগাযোগের জন্য শিশুরা শিক্ষা হতেও বঞ্চিত।
উক্ত অবহেলিত এলাকার উন্নয়নের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।